🇧🇩শহিদ আসাদ দিবস আজ🇧🇩

তথ্য সংগ্রহ | নাজমুল আহম্মেদ 
১৯৬৯এর। ২০ ই জানুয়ারি এই দিনে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে
মিছিলে গুলীবর্ষণ এর শিকার হয়ে বর্তমান জাতীয় সংসদের দক্ষিণ দিকে মোহাম্মদপুর রাস্তার শুরুতেই সামরিক বাহিনীর গুলিতে নিহত হন তিনি । এরপর থেকেই ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস হিসেবে পালিত হয় ।

সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত
জন্মঃ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান
১০ জুন, ১৯৪২ সাল
ধানুয়া, শিবপুর, নরসিংদী, বাংলাদেশ

মৃত্যু
২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সাল
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

পেশা
ছাত্র
পরিচিতির কারণ
শহীদ, ছাত্রনেতা
পুরস্কার
স্বাধীনতা পুরস্কার, (২০১৮)

প্রারম্ভিক জীবন
শহীদ আসাদ ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বড় ভাইয়ের নাম প্রকৌশলী রশিদুজ্জামান। শিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে মাধ্যমিক শিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার্থে জগন্নাথ কলেজ (বর্তমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) ও এমসি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হয়ে ১৯৬৬ সালে বি.এ এবং ১৯৬৭ সালে এম.এ ডিগ্রী অর্জন করেন। এই বৎসরেই আসাদ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এবং কৃষক সমিতির সভাপতি মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাষাণী’র নির্দেশনায় কৃষক সমিতিকে সংগঠিত করার লক্ষ্যে শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরা এবং নরসিংদী এলাকায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন।

ঢাকা’র সিটি ল কলেজে তিনি ১৯৬৮ সালে আরো ভালো ফলাফলের জন্যে দ্বিতীয়বারের মতো এম.এ বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের জন্য চেষ্টা করছিলেন।[৩] ১৯৬৯ সালে মৃত্যুকালীন সময়ে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে এম.এ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। শহীদ আসাদ তৎকালীন ঢাকা হল (বতর্মান শহীদুল্লাহ হল) শাখার পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে এবং পূর্ব-পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন (ইপসু-মেনন গ্রুপ), ঢাকা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত প্রাণ আসাদুজ্জামান গরিব ও অসহায় ছাত্রদের শিক্ষার অধিকার বিষয়ে সর্বদাই সজাগ ছিলেন। তিনি শিবপুর নৈশ বিদ্যালয় নামে একটি নৈশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং শিবপুর কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদেরকে সাথে নিয়ে আর্থিক তহবিল গড়ে তোলেন।